মাসনূন দোয়া
১. উযুর শুরুতে পড়বে
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি অসীম দয়ালু অত্যন্ত দয়াবান। (আবু দাঊদ হাদীস নং-১০১/ তিরমিযী হাদীস নং-২৫)
৩. উযুর শেষে উপরের দিকে তাকিয়ে পড়বে
اَشْهَدُ اَنْ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ. وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ.
অর্থঃ আমি (অন্তরের অকাট্য বিশ্বাসের সাথে) সাক্ষ্য (স্বরূপ মুখে ঘোষণা) দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মা‘বুদ (ইবাদতের যোগ্য) নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা এবং রাসূল। (মুসলিম হাদীস নং-২৩৪,৫৭৭)
অতঃপর এ দু‘আ পড়বে-
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَوَّابِيْنَ، وَاجْعَلْنِـيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
অর্থ:হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের মধ্যে শামিল করুন। (তিরমিযী হাদীস নং-৫৫)
৪. মসজিদে প্রবেশ করার সময় পড়বে
بِسْمِ اللهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِيْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলার নামে শুরু করছি।আল্লাহ তা‘আলার রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করে দিন। (মুসলিম হাদীস নং-৭১৩/ মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-২৬৪৭৩, ২৬৪৭২/ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস নং- ২৯৭৫৫/ ইবনে মাজাহ হাদীস নং- ৭৭১,মুসনাদে আহমাদ, ৬:২৮৩, হাদীস নং-২৬৪৫৯/মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৪৩১)
৬. আযান শেষে দু‘আ
৬. আযানের শেষে প্রথমে দুরূদ শরীফ পড়ে এ দু‘আ পড়বেঃ
اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ اٰتِ مُحَمَّدَانِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِيْ وَعَدْتَّهٗ. اِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ.
অর্থঃ হে পরিপূর্ণ দাওয়াত (তথা আযান) ও নামাযের মালিক আল্লাহ! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উসীলা ও উচ্চমর্যাদা দান করুন এবং তাঁকে মাকামে মাহমুদে আসীন করুন, যার ওয়াদা আপনি তাঁর সাথে করেছেন। নিশ্চয় আপনি ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। (বুখারী হাদীস নং-৬১৪/ মুসলিম হাদীস নং ৩৮৪/ বাইহাকী হাদীস নং-১৯৭২,সুনানে কুবরা বাইহাকী হাদীস নং-২০০৯)
৭. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর পড়ার দু‘আ সমূহ
(১) ৩ বার।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ
(ইবনুস সুন্নী হাদীস নং-১৩৭,১৩৬)
(২) ১ বার
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ ومِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ
(মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-২২৩৬৫/ মুসলিম হাদীস নং-৫৯১) (মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-২২৪১৯/ মুসলিম হাদীস নং-১৩৬৩)
(৩) ১ বার
لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ. اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا اَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। সর্বময় রাজত্ব একমাত্র তাঁর। তারই জন্য সকল প্রশংসা তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান, হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান তা কেহ রোধ করতে পারে না, আর আপনি যা রোধ করতে চান তা কেহ দিতে পারবে না এবং কোন সম্পদশালীকে তার সম্পদ আপনার থেকে রক্ষা করতে পারে না। (বুখারী হাদীস নং-৮৪৪)
(৪) ১ বার আয়াতুল কুরসী اية الكرسى
اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ ° لَا تَاْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ° لَهٗ مَا فـِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ° مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِه ° يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ° وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ° وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ° وَلَا يَئُوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ° وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মৃত্যু ব্যতীত কোন কিছু তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। (সুনানে কুবরা নাসাঈ হাদীস নং-৯৯২৮/ ইবনুস্ সুন্নী হাদীস নং-১২৩)
(৫)تسبيح فاطمى অর্থাৎ ৩৩ বার, سُبْحَانَ اللّٰهِ ৩৩ বার اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ৩৪বার اَللهُ اَكْبَرُ (মুসলিম হাদীস নং-৫৯৫)
(৬) ফজর ও মাগরিবের পর কথা বলার পূর্বে ৭ বার-
اَللّٰهُمَّ اَجِرْنِيْ مِنَ النَّارِ
(সুনানে কুবরা নাসাঈ হাদীস নং-৯৯৩৯/ আবু দাউদ হাদীস নং-৫০৭৯)
(৭) ফজর ও মাগরিবের পর পড়বে- ৩ বার
اَعُوْذُ بِاللهِ السَّمِيْعِ الْـعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
পড়ে, তারপর بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ (১ বার) পড়ে। ১ বার سورة الحشر (সূরা হাশর)-এর শেষ ৩ আয়াত পড়বে। (তিরমিযী হাদীস নং-২৯২৭)
هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَج عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ ° هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَج اَ لْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ ° هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ°
বি.দ্র. লম্বা দু‘আ সমূহ ফরয নামাযের পরে সুন্নাত না থাকলে ফরযের পরই পড়বে, আর সুন্নাত থাকলে সুন্নাত পড়ার পর পড়ব!
৮. খাবার সামনে এলে এ দু‘আ পড়বে
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْمَا رَزَقْتَنَا، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ.
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। (ইবনুস সুন্নী হাদীস নং-৪৫৯, ৪৫৬ /আল আযকার হাদীস নং-৬৫০)
৯. খাওয়ার শুরুতে পড়বে
بِسْمِ اللهِ وَبَرَكَةِ اللهِ
অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলার নামে শুরু করছি এবং আল্লাহ তা‘আলার বরকতের সাথে এ খাবার খাচ্ছি। (মুসতাদরাকে হাকেম হাদীস নং-৭২৩৬)
১০. খাওয়ার শুরুতে দু‘আ পড়তে ভুলে গেলে স্মরণ হওয়া মাত্রই পড়বে
بِسْمِ اللهِ اَوَّلَهٗ وَاٰخِرَهٗ
অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলার নামে খাচ্ছি, এর প্রথমাংশেও এবং শেষাংশেও। (আবু দাউদ হাদীস নং-৩৭৬৭)
১১. আহারের শেষে পড়বে
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ اَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَا مُسْلِمِيْنَ.
অর্থঃ সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য, যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন। (আবু দাউদ হাদীস নং-৩৮৫১/৩৮৫২ তিরমিযী হাদীস নং-৩৪৬৬)
আজকে এখানেই শেষ কৱলাম
সবাই ভাল থাকবেন!
কোন মন্তব্য নেই