Header Ads

Header ADS

নবীজী ﷺ এর সুন্নাতের গুরুত্ব


وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ


অর্থঃরাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহণ কর, আর তোমাদেরকে যা থেকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় করে চল। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা হাশর- ৭)


দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,


قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ


অর্থঃ হে নবী! মানুষকে বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবেসে থাক, তবে আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহসমূহ মাফ করবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আলে ইমরান- ৩১)


হাদীস শরীফে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,


إن الإسلام بدأ غريبا وسيعود كما بدأ فطوبى للغرباء ...


অর্থঃইসলাম তার অভিযাত্রা শুরু করেছে অপরিচিত অবস্থায়। শীঘ্রই তা শুরুর অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে গোরাবাদের (অপরিচিত মুসাফির) জন্য সুসংবাদ! যারা আমার ইন্তিকালের পর আমার সুন্নাতের মধ্য হতে মানবসৃষ্ট বিচ্যুতি ও বিকৃতি সংশোধন করে দিবে। (সহীহ মুসলিম; হা.নং ৩৮৯, সুনানে তিরমিযী; হা.নং ২৬২৯, ২৬৩০)


অন্যত্র ইরশাদ করেন,


فانه من يعش منكم بعدى فسيرى اختلافا كثيرا فعليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين ... الخ


অর্থঃ আমার ইন্তিকালের পর তোমরা যারা জীবিত থাকবে তারা অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। সে সময় তোমাদের কর্তব্য হবে আমার তরীকাকে আঁকড়ে ধরা এবং খুলাফায়ে রাশিদীনের তরীকাকে মজবুত করে ধরা। (সুনানে আবূ দাউদ; হা.নং ৪৬০৭)

ঈদের সুন্নাতসমূহ


১. অন্য দিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে উঠা। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৫৯, বাইহাকী হাদীস নং-৬১২৬)


২. মিসওয়াক করা। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৯)


৩. গোসল করা। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নাম্বার-১৩১৫)


৪. শরী‘আত সম্মত সাজ-সজ্জা করা। (সহীহ বুখারী শরীফ হাদীস নাম্বার-৯৪৮)


৫. সামর্থ অনুযায়ী উত্তম পোষাক পরিধান করা। উল্লেখ্য, সুন্নাত আদায়ের জন্য নতুন পোষাক জরুরী নয়। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৯)


৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৮)


৭. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে মিষ্টি জাতীয় জিনিস, যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত দ্বারা আহার করা উত্তম।(সহীহ বুখারী হাদীস নং-৯৫৩, আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৮)


৮. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। (সুনানে আবু দাউদ হাদীস নাম্বার-১১৫৭)


৯. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সাদাকায়ে ফিতর আদায় করা। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৮)


১০. ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা সুন্নাত। বিনা উযরে মসজিদে আদায় করা উচিত নয়। (সহীহ বুখারী হাদীস নাম্বার-৯৫৬)


১১. যে রাস্তায় ঈদগাহে যাবে সম্ভব হলে ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। (সহীহ বুখারী হাদীস নাম্বার-৯৮৬)


১২. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৯০)


১৩. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর বলতে থাকা 


اَللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ. لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ . وَللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ. وَ لِلّٰهِ الْحَمْدُ 


তবে ঈদুল আযহাতে যাওয়ার সময় এই তাকবীর উচ্চস্বরে পড়তে থাকবে। (বাইহাকী হাদীস নং-৬১৩০)



কোন মন্তব্য নেই

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.