নিয়মিত আমল###
১) হাদিসঃ- আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ঐ আমল, যা নিয়মিত করা হয়। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহ্ তা’আলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কি? তিনি বললেনঃ যে আমল নিয়মিত করা হয়। যদিও তা অল্প হোক। তিনি আরোও বললেন, তোমরা সাধ্যমত আমল করে যাও। [বুখারী, ৬০২১]
(২) হাদিসঃ- আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে আমল আমলকারী নিয়মিত করে সেই আমল রাসূল (সাঃ) এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিলো। [বুখারী, ৬০১৮]
(৩) হাদিসঃ- হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যার নিয়ত সে করবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের উদ্দেশ্যে হিজরত করবে তার হিজরত আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্যই হবে। আর যে দুনিয়া লাভের জন্য কিংবা কোনো নারীকে বিয়ের উদ্দেশ্যে হিজরত করবে তার হিজরত উক্ত বিষয়ের জন্যই হবে, যার জন্য সে হিজরত করেছিল। [সহীহ বুখারী হাদীস ১; সহীহ মুসলিম হাদীস ১৯০৭]
(৪) হাদিসঃ- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ মনে শাহাদাতের প্রার্থনা করবে আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করবেন। যদিও সে স্বীয় বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯০৯]
সুতরাং উপরোক্ত হাদিসগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে, আমরা যে আমলই করি না কেন তা অবশ্যই হতে হবে সঠিক নিয়তে অর্থাৎ আমরা যা কিছুই করি না কেন তা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করছি এবং ছওয়াবের আশায় করছি এই ধরনের নিয়ত থাকতে হবে। আর যে যত টুকই আমল করি না কেন তা হতে হবে নিয়মিত। আল্লহ আমাদেরকে জেনে বুঝে সঠিক ভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন…। সহীহ আমল প্রতিদিন নিম্নে বর্ণিত হলঃ-
ফজরের নামাযের পরঃ
(১) হাদিস শরীফের মধ্যে আছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়ার পর ঐ অবস্থায় বসিয়া, আল্লহর ধ্যানে মগ্ন থাকিয়া কাহারো সহিত কথা না বলিয়া নিম্নের দুয়া দশ বার ( ১০ বার ) পাঠ করিবে তাহার আমল নামায় দশটি নেকী হইবে, দশটি গোনাহ মাফ হইবে এবং বেহেস্থের মধ্যে দশটি দরজা বৃদ্ধি পাইবে এবং সমস্ত দিন শয়তান থেকে এবং খারাপ কাজ থেকে হেফাজত থাকিবে। দুয়াটি হলঃ-
‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া ইয়ুমীতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির। ”
(২) যে ব্যক্তি ফজর নামাযের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত আল্লাহর ধ্যানে লিপ্ত থেকে এবং সূর্য উঠার পর
দুই রাকাত এশরাক নফল নামায পড়ে, সে ব্যক্তি এই রকম ছওয়াব পাইবে যেমন- হজ্ব ও ওমরাহ হজ্বের ছওয়াব মেলে।
(৩) রুযী বৃদ্ধির জন্য প্রত্যহ ফজরের নামাযের পর “ ইয়া রাজ্জাকু ” তিনশত আট বার পড়িতে হইবে।
(৪) ফজরের পরঃ
“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” [ ১০০ বার ]
“ছোবাহানাল্লাহ” [ ১০০ বার ]
“আলহামদুলিল্লাহ্” [ ১০০ বার ]
“আল্লাহু আকবর” [ ১০০ বার ]
“আসতাগ ফিরুল্লাহা রব্বি মিনকুল্লি জামবিও ওয়াতুবু ইলায়হি” [ ১০০ বার]
“ছুবাহান আল্লহি ওয়া বিহামদিহি ছুবাহান আল্লহিল আজিম” [ ১০০ বার ]
ফজর এবং মাগরিব নামাযের পরঃ
(১) যে ব্যাক্তি সকাল সন্ধায় ( ফজর ও মাগরিবের পর ) তিনবার করে “ আউজু বিল্লাহিস সামিউল আলিম মিমিনাস শাইতনির রজীম” পড়ার পর “ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পড়ে “ সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত” পড়িবে, তাহার হেফাজতের জন্য ৭০হাজার ফেরেস্তা দিনে এবং ৭০হাজার ফেরেস্তা রাত্রে দুয়া করিবে এবং মৃত্যুর পর সে শহীদের দরজা প্রাপ্ত হইবে।
(২) যে কেহ প্রত্যহ ফজরের ফরজ ও মাগরিবের ফরজ নামাযের পর নিম্নের দুয়া সাত বার করিয়া পড়িবে সে দোযখের আজাব থেকে মুক্তি লাভ করিবে। দুয়াটি হলঃ- “ আল্লাহুম্মা আ-জিরনা মিনান নার।”
(৩) ভীষণ বিপদ ও মোকদ্দমা হইতে মুক্তি পাইবার জন্য ফজর ও মাগরিব নামাযের পর হাজার বার অথবা পাঁচশত বার “ হাছবি আল্লাহু ওয়া নি’য়মাল ওয়াকীল” পাঠ করিলে সকল প্রকার বিপদ হইতে উদ্ধার পাওয়া যায়। [ইহা পরিক্ষিত]
জোহরের নামাযের পরঃ
(১) জোহরের নামাযের পর “ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মোহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মোহাম্মাদিন ওয়া বারিক ওয়া ছাল্লাম।” এই দরূদ ১০০ বার পড়িলে (১) উক্ত ব্যক্তি দেনাদার হইবে না, যদিও হয় তবে আল্পদিনে পরিশোধ করিতে পারিবে। (২) হালাল রুযী দ্বারা তার রিজিক বরকত হইবে। (৩) সাধারণ বিপদ মুছিবত হইতে আল্লাহ তাহাকে নিরাপদে রাখিবেন। (৪) রাতদিন তাহার দ্বারা কোন গুনাহের কাজ হইবে না।
মাগরিব নামাযের পরঃ
(১) মাগরিবের পর ১০০ বার “ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুল্লুল্লাহ” পড়িলে (১) দুনিয়ার কোন প্রয়োজনীয় কাজে অপরাগ হইবে না। (২) দৈনিক পাঁচবার আল্লাহ পাক রহমতের দৃষ্টি করিবেন। (৩) কেয়ামতের দিন বিপদকালে আল্লাহ তাহার প্রতি রাজী থাকিবেন। (৪) কবরের আজাব হইতে নিরাপদে থাকিবেন। (৫) মনকার নাকিরের সওয়ালের জাবাব আছান হইবে।
এশার নামাযের পরঃ
(১) এশার নামাযের পর ১০০ বার “ ছোবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিইল আজিম।” পড়িলে (১) ৭০ জন নবীর ছাওয়াব তাহার আমল নামায় লেখা হইবে। (২) বেহেস্তে তাহাকে স্বর্ণের ৭০টি মহল দেওয়া হইবে। (৩) নবীজির উম্মতের মধ্যে ৭০ হাজার পাপীকে সুপারিশ করিবে। (৪) কেয়ামতে নবীজির সুপারিশ পাইবে। (৫) আল্লাহর দিদার লাভ হইবে।
(২) হাদিসঃ- আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে আমল আমলকারী নিয়মিত করে সেই আমল রাসূল (সাঃ) এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিলো। [বুখারী, ৬০১৮]
(৩) হাদিসঃ- হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যার নিয়ত সে করবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের উদ্দেশ্যে হিজরত করবে তার হিজরত আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্যই হবে। আর যে দুনিয়া লাভের জন্য কিংবা কোনো নারীকে বিয়ের উদ্দেশ্যে হিজরত করবে তার হিজরত উক্ত বিষয়ের জন্যই হবে, যার জন্য সে হিজরত করেছিল। [সহীহ বুখারী হাদীস ১; সহীহ মুসলিম হাদীস ১৯০৭]
(৪) হাদিসঃ- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ মনে শাহাদাতের প্রার্থনা করবে আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করবেন। যদিও সে স্বীয় বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯০৯]
সুতরাং উপরোক্ত হাদিসগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে, আমরা যে আমলই করি না কেন তা অবশ্যই হতে হবে সঠিক নিয়তে অর্থাৎ আমরা যা কিছুই করি না কেন তা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করছি এবং ছওয়াবের আশায় করছি এই ধরনের নিয়ত থাকতে হবে। আর যে যত টুকই আমল করি না কেন তা হতে হবে নিয়মিত। আল্লহ আমাদেরকে জেনে বুঝে সঠিক ভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন…। সহীহ আমল প্রতিদিন নিম্নে বর্ণিত হলঃ-
ফজরের নামাযের পরঃ
(১) হাদিস শরীফের মধ্যে আছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়ার পর ঐ অবস্থায় বসিয়া, আল্লহর ধ্যানে মগ্ন থাকিয়া কাহারো সহিত কথা না বলিয়া নিম্নের দুয়া দশ বার ( ১০ বার ) পাঠ করিবে তাহার আমল নামায় দশটি নেকী হইবে, দশটি গোনাহ মাফ হইবে এবং বেহেস্থের মধ্যে দশটি দরজা বৃদ্ধি পাইবে এবং সমস্ত দিন শয়তান থেকে এবং খারাপ কাজ থেকে হেফাজত থাকিবে। দুয়াটি হলঃ-
‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া ইয়ুমীতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির। ”
(২) যে ব্যক্তি ফজর নামাযের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত আল্লাহর ধ্যানে লিপ্ত থেকে এবং সূর্য উঠার পর
দুই রাকাত এশরাক নফল নামায পড়ে, সে ব্যক্তি এই রকম ছওয়াব পাইবে যেমন- হজ্ব ও ওমরাহ হজ্বের ছওয়াব মেলে।
(৩) রুযী বৃদ্ধির জন্য প্রত্যহ ফজরের নামাযের পর “ ইয়া রাজ্জাকু ” তিনশত আট বার পড়িতে হইবে।
(৪) ফজরের পরঃ
“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” [ ১০০ বার ]
“ছোবাহানাল্লাহ” [ ১০০ বার ]
“আলহামদুলিল্লাহ্” [ ১০০ বার ]
“আল্লাহু আকবর” [ ১০০ বার ]
“আসতাগ ফিরুল্লাহা রব্বি মিনকুল্লি জামবিও ওয়াতুবু ইলায়হি” [ ১০০ বার]
“ছুবাহান আল্লহি ওয়া বিহামদিহি ছুবাহান আল্লহিল আজিম” [ ১০০ বার ]
ফজর এবং মাগরিব নামাযের পরঃ
(১) যে ব্যাক্তি সকাল সন্ধায় ( ফজর ও মাগরিবের পর ) তিনবার করে “ আউজু বিল্লাহিস সামিউল আলিম মিমিনাস শাইতনির রজীম” পড়ার পর “ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পড়ে “ সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত” পড়িবে, তাহার হেফাজতের জন্য ৭০হাজার ফেরেস্তা দিনে এবং ৭০হাজার ফেরেস্তা রাত্রে দুয়া করিবে এবং মৃত্যুর পর সে শহীদের দরজা প্রাপ্ত হইবে।
(২) যে কেহ প্রত্যহ ফজরের ফরজ ও মাগরিবের ফরজ নামাযের পর নিম্নের দুয়া সাত বার করিয়া পড়িবে সে দোযখের আজাব থেকে মুক্তি লাভ করিবে। দুয়াটি হলঃ- “ আল্লাহুম্মা আ-জিরনা মিনান নার।”
(৩) ভীষণ বিপদ ও মোকদ্দমা হইতে মুক্তি পাইবার জন্য ফজর ও মাগরিব নামাযের পর হাজার বার অথবা পাঁচশত বার “ হাছবি আল্লাহু ওয়া নি’য়মাল ওয়াকীল” পাঠ করিলে সকল প্রকার বিপদ হইতে উদ্ধার পাওয়া যায়। [ইহা পরিক্ষিত]
জোহরের নামাযের পরঃ
(১) জোহরের নামাযের পর “ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মোহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মোহাম্মাদিন ওয়া বারিক ওয়া ছাল্লাম।” এই দরূদ ১০০ বার পড়িলে (১) উক্ত ব্যক্তি দেনাদার হইবে না, যদিও হয় তবে আল্পদিনে পরিশোধ করিতে পারিবে। (২) হালাল রুযী দ্বারা তার রিজিক বরকত হইবে। (৩) সাধারণ বিপদ মুছিবত হইতে আল্লাহ তাহাকে নিরাপদে রাখিবেন। (৪) রাতদিন তাহার দ্বারা কোন গুনাহের কাজ হইবে না।
মাগরিব নামাযের পরঃ
(১) মাগরিবের পর ১০০ বার “ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুল্লুল্লাহ” পড়িলে (১) দুনিয়ার কোন প্রয়োজনীয় কাজে অপরাগ হইবে না। (২) দৈনিক পাঁচবার আল্লাহ পাক রহমতের দৃষ্টি করিবেন। (৩) কেয়ামতের দিন বিপদকালে আল্লাহ তাহার প্রতি রাজী থাকিবেন। (৪) কবরের আজাব হইতে নিরাপদে থাকিবেন। (৫) মনকার নাকিরের সওয়ালের জাবাব আছান হইবে।
এশার নামাযের পরঃ
(১) এশার নামাযের পর ১০০ বার “ ছোবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিইল আজিম।” পড়িলে (১) ৭০ জন নবীর ছাওয়াব তাহার আমল নামায় লেখা হইবে। (২) বেহেস্তে তাহাকে স্বর্ণের ৭০টি মহল দেওয়া হইবে। (৩) নবীজির উম্মতের মধ্যে ৭০ হাজার পাপীকে সুপারিশ করিবে। (৪) কেয়ামতে নবীজির সুপারিশ পাইবে। (৫) আল্লাহর দিদার লাভ হইবে।
কোন মন্তব্য নেই